নূহ বৃত্তান্ত ১

পৃথিবী জুড়িয়া এক মহামারি শুরু হইলো। মহামারিতে মানুষ মরার সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকিলো। মহাপ্রভু নূহকে বলিলেন- “মহামারি থেকে বাঁচতে একখানা নৌকা নির্মান করো নূহ”।

“নৌকা?” শুধাইলেন নূহ, “আমি তো Primeminister’s men না, মহাপ্রভু”। মহাপ্রভু বলিলেন “ভাঁড়ামো কইরো না নূহ, এমনেই চন্ডাল আল-জাজিরা যন্ত্রণা করিতেছে, এর উপরে তোমার ভাঁড়ামো ভাল লাগতেছে না”। নূহ সাময়িক খিঁচ খাইলেন।

নৌকা বানানো সমাপ্ত হইলে নৌকার এনিমেল ট্রায়াল করার প্রস্তুতি নেয়া শুরু হইলো। তবে এমতাবস্থায় জ্রিবাইল হন্তদন্ত অবস্থায় আসিয়া বলিল অক্সফোর্ড-এস্ট্রেজেনেকার নৌকা নাকি তৈরি হইয়া গিয়াছে। তাদের নৌকা বিভিন্ন দেশেও সাপ্লাই হইতেছে। নূহ ঠিক করিল অক্সফোর্ডের নৌকাই কিনিবে। শ্বেতশুভ্র দাড়ির গেন্ডাল্ফ দ্যা হোয়াইটকে বলা হইলো ব্যবস্থা করতে। গেন্ডাল্ফ চলিয়া গেলেন হবিট মালেকের কাছে, নৌকা খরিদ হইলো। দুইজনে মিলিয়া কী জানি পকেটে ঢুকাইলো, কেউ বুঝতে পারিলো না।।

নৌকা আনা হইলো দেশে। সদাপ্রভু আসিয়া বলিলেন “নূহ, একটা অ্যাপ বানাও, মানুষ রেজিস্ট্রেশন করিয়া নৌকায় উঠিবে, এই নাও ৯০ কোটি টাকা”। নূহ হবিট মালেকের দিকে চাহিয়া দুষ্টু হাসি দিয়া টাকাগুলা পকেটে পুরিলো।

সকলে পরম উৎসাহে নৌকায় উঠার রেজিস্ট্রেশন করিয়া লইলো। হবিট মালেক কবে নৌকায় চড়িবেন তাহা জানতে চাইলে তিনি মুচকি হাসি দিয়া কহিলেন “সময় হইলে জানবেন”।

সদাপ্রভু বলিয়া দিয়েছিলেন শুরুতে বৃদ্ধদের নৌকায় তুলিতে হইবে, তাহার পরে যাহারা নৌকা বানাইয়াছে তাহারা নৌকায় উঠিবে। কিন্তু নৌকায় উঠার দিনে দেখা গেল হবিট মালেক তাহার ৩০-৪০ জন সঙ্গীসাথী লইয়া নৌকায় বসিয়া ফটোসেশন করিতেছে। নূহের মেজাজ খারাপ হইলো। সব করলাম আমরা, বাটপার হবিট কি না আগে আইসা বসিয়া গেলো! সে সদাপ্রভুর নিকট বিচার লইয়া যাইতে উদ্যত হইলো।

স্বর্গের উদ্যানে নূহ হাঁটে আর সদাপ্রভুকে তালাশ করে। সদাপ্রভুর খোঁজ পায় না। চারপাশে শুধু সদাপ্রভুর men হাউকাউ করতেছে। সদাপ্রভু কোথাও নাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *